অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আজ ২ এপ্রিল রবিবার, ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে— ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’। দিবসটি উপলক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—১ এপ্রিল থেকে ২ রাত নীল বাতি প্রজ্বালন। অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৩ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ১ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে দুই রাত বাংলাদেশ সচিবালয়সহ সব সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় নীল বাতি জ্বলছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস বা মিশনেও নীল বাতি জ্বলবে। দেশের প্রতিটি জেলায় আলোচনাসভাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বছর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। অটিজম বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়।
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্মানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে নীল রঙের আলোকসজ্জা করা হবে। এছাড়া অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে রোড ব্র্যান্ডিং, বিশেষ স্মরণিকা ও লিফলেট ছাপানো হয়েছে।
অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
একসময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। সায়মা ওয়াজেদ এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
Leave a Reply